বিনিয়োগের মাধ্যমে হিসেবে মিউচুয়াল ফান্ডের নাম উঠে এলেও তাতে কিছু ঝুঁকি থাকায় অনেক গ্রাহকই অপছন্দের তালিকায় রাখেন এই মাধ্যমকে। সেই সব গ্রাহক সবসময় ভরসা রাখেন সরকারি বা LIC এর মতো সংস্থা গুলিতে। তাঁদের জন্যই সরকার একের পর এক বিনিয়োগের উপায় করে দিয়ে আসছে। ২০১৫ সালে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও স্লোগানের সমর্থনে নরেন্দ্র মোদী সরকারি ভাবে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার ঘোষণা করেন। ভারতে কন্যা সন্তানের সংখ্যা কমে আসা এবং বেআইনি ভাবে কন্যা ভ্রূণ হত্যার বিষয়টিকে স্থগিত করার জন্য এবং কন্যা সন্তানদের পিতা মাতাদের পাশে দাঁড়াতে এই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার প্রকাশ করেন।
এই যোজনায় ৮.২% হারে বার্ষিক সুদ প্রদান করা হয়। যা উচ্চ সুদের বহুল প্রচলিত কয়েকটি যোজনার চেয়েও বেশি। আবার এই যোজনার উপর আয়করের ছাড় দেওয়া হয়। কন্যা সন্তানের ১০ বছর বয়সের আগেই এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করাতে হয়। এরপর বার্ষিক ২৫০ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। তারপর কন্যার ২১ বছর বয়সে এসে ম্যাচুরিটির টাকা পাওয়া যাবে। ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে এই যোজনার একাউন্ট খোলা সম্ভব। একজন ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানের জন্য সর্বচ্চো দুটি একাউন্ট খুলতে পারেন। যদি কারো যমজ কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তবে সেক্ষেত্রে তিনটি একাউন্ট খোলা যাবে। এর মেয়াদ হয় ১৫ বছরের।

কোনো ব্যক্তি যদি কন্যা সন্তানের জন্মের এক বছর বয়স থেকে মাসে ১০ হাজারের সঞ্চয় শুরু করেন তবে তিনি মোট জমাবেন ১৫ লক্ষ টাকা। এবং এর উপর ৮.২% সুদের হারে সুদ সহ পাওয়া যাবে ১৫ বছরে মোট ৫৫ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকারও বেশি। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় প্রাপ্ত টাকাও পাওয়া যাবে করমুক্ত অবস্থায়।