Sandeshkhali TMC: সম্প্রতি সন্দেশখালী কান্ডে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি থেকে পড়ার চায়ের ঠেক। উঠে আসে ভয়াবহ সব শিহরণ জাগানো তথ্য। শোনা যায় সন্দেশখালীর বিধায়ক শেখ শাহাজাহান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মহিলাদের জোর করে তুলে এনে শারীরিক নির্যাতন করেন। রাজি না হলে,পালিয়ে যেতে চাইলে বা সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে কাছের মানুষের মৃত্যুর হুমকি আসতো। এমনটাই অভিযোগ তোলেন সন্দেশখালির মহিলারা। আরও জানা যায় পুলিশে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বরং বেড়েছে অত্যাচারের হার। আর তাই মহিলারা এক জোট হয়ে রুখে দাঁড়ান। এই ঘটনাই কিছুদিন লোক মুখে চড়ে বেড়াচ্ছিল। তোলপাড় হচ্ছিল সংবাদ পত্র গুলি। ভোটের আগে এরকম অভিযোগে ,অগ্নিগর্ভ এলাকা হওয়ায় তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত ছিল।
এখান থেকেই উঠে আসেন রেখা পাত্র। সোন্দেশখালীর মহিলাদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রতিবাদ করার। গর্জে ওঠার। তার এই বাঘিনী স্বরূপ আচরণে প্রসন্ন হয়ে তাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেন মোদী। সেই সময় ফোন কথাও বলেন দুজনে। সোন্দেশখালির তাপ তখন সর বঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষেরা একজোট হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ফলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় নিয়ে আশাবাদী ছিল অনেকেই।
তবে ফলাফল প্রকাশেই হলো উলট পূরণ। শব্দেশখালীতে দাগ কাটেনি বাংলায়, চারিদিকে ফুটলো ঘাসফুল । ২৯টি আসনে জয় লাভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসের। আর বিজেপি প্রাপ্ত আসন কমে দাঁড়ায় ১৮ টি থেকে ১২টি। এনিয়ে ফলাফল পরবর্তি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী জানান “মানুষ শেষ কথা বলবে, মানুষ জবাব দেবে”। আসছে বিধানসভা ভোটের আগে ভালো ফলে খুশি ঘাস ফুল শিবিরে।সব মিলিয়ে মোদীর ভোট রণকৌশলে কোথাও খামতি রয়ে গেছিল যা ঘাসফুল শিবির ও ইন্ডিয়া জোট শিবির চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।