IPO: শেয়ার বাজার এখন বহুল প্রচলিত। অনেক ধরনের ট্রেডিংয়ের উপায় রয়েছে শেয়ার বাজারের সেবি স্বীকৃত এপ্লিকেশন গুলোতে। আর তারই একটি বিশেষ ধরন হলো IPO যার পুরো নাম ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং। এর অর্থ হলো প্রাথমিক ভাবে মানুষকে সুযোগ দেওয়া। অর্থাৎ কোনো সংস্থার তরফে প্রথম সুযোগ দেওয়া।
যদি কোনো সংস্থা বাজার থেকে লগ্নির টাকা তাঁদের ব্যবসায় লাগাতে চান তবে তারা একটি প্রাথমিক মূল্যের পরিবর্তে একসাথে কিছু সংখ্যক শেয়ার তারা বিনিয়োগকারীদের জন্য দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আবেদন করলেই IPO মিলবে এমনটা নয়। লক্ষাধিক আবেদনকারীর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু মানুষই সুযোগ পান। এরপর কোম্পানির লিস্টিংয়ের পর IPO তে পাওয়া মূল্যের চেয়ে দাম বাড়িয়ে বাজার শুরু হয়। এরপর বাজারের হিসেবে পড়তে বা উঠতে থাকে দাম।
বিনিয়োগের এই বিশেষ ধরনকে IPO বলা হয়। এতে বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকে বলেই আবেদন হয় অনেক বেশি। তবে কোম্পানি যত টাকার লগ্নি চায় তার হিসেবেই IPO দেয় গ্রাহকদের। লগ্নির আগে অবশ্যই কোম্পানি পলিসি এবং কোম্পানির আয় ব্যয়ে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। ভালো চুক্তির IPO বেছে নিলে হতে পারে লক্ষী লাভ।

সাধারণত IPO নিতে গেলে ১৪০০০-১৫০০০ টাকা লগ্নি করতে হয়। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় টাকাটি ডিমাট একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া না হলেও ওই পরিমাণ অর্থ ব্লক করে রাখা হয় যেটা আপনি অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন না। আবেদনের শেষ তারিখ পেরিয়ে গেলে যদি আপনি IPO পাওয়ার জন্য গণ্য না হন তখন ওই ব্লক উঠে যাবে এবং আপনি পুনরায় ওই অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।