বুধবার রাতে আবার রকেট হামলা গাজার একটি শরণার্থী আশ্রয়স্থল বিদ্যালয়ে। এদিন নাসেইরাট শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ চালায় ইজরাইল এমনটাই দাবি গাজার আধিকারিকদের। দেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৪৫ জন ফিলিস্তিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রমণের সময় ঘর বাড়িহীন প্রায় তিরিশ হাজার ফিলিস্তিনি মানুষ স্কুলটির একতলায় আশ্রয় গ্রহণ করে ছিলেন। আহতদের তৎক্ষণাৎ আল আকসা মাস্টার্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
হামলার কথা স্বীকার করা হয়েছে ইজরায়েলের পক্ষ থেকেও। তাদের তরফে জানানো হয়েছে ওই স্কুলে হামাসের জঙ্গিদের ঘাঁটি ছিল , আর পৃথিবী থেকে হামাস জঙ্গিদের নির্মূল করাই ইজরায়েলের লক্ষ। উঠে আসা এক চাঞ্চল্যকর তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি যুদ্ধের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের করা ভিডিওতে পরপর তিনটি আক্রমণ হতে দেখা যায় এর মধ্যে দুটি অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বলে চিহ্নিত করা যায়।
ইজরাইল ও প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ চলে আসছে মাসের পর মাস। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে কেটেছে মাসের পর মাস। প্রাণ গিয়েছে হাজার হাজার সাধারণ নির্দোষ নাগরিকের। বাচ্চা, মহিলা , বৃদ্ধ কেউই বাদ যায়নি। মৃত্যু মিছিল এখনও থামেনি। হামাসের জঙ্গি গোষ্ঠীর উচ্ছেদের জন্য মরিয়া ইজরাইল তাদের দাবি প্যালেস্তাইন জঙ্গিদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছে। এই হামলায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারেরা ইতিমধ্যেই দেহ শনাক্ত করেছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন ঘুমের মধ্যে হঠাতই হামলা শুরু হয় তখন ওই নিস্ব ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা জীবন বাঁচানোর জন্য হুড়োহুড়ি পরে যায়। যারা পালাতে পেরেছিলেন প্রাণে বেঁচেছেন। পাঁচ শিশু সহ মৃত্যু হয়েছে অনেক সাধারণ মানুষের।