Cyclone Remal Update: মে মাস ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস। বেশিরভাগ বছরই মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়কে বঙ্গোপসাগরসহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানতে দেখা যায়। তবে শুধু মে মাস নয়, অক্টোবর মাসকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস হিসেবে ধরা হয়।মূলত সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পরই ঘূর্ণাবর্ত, তা থেকে নিম্নচাপ এবং সেই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
সম্প্রতি, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বঙ্গোপসাগর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহের পর এখন ঘূর্ণিঝড় রেমাল আপডেট দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিসের অনুমান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় মে মাসের শেষ দিকে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। যদিও আলিপুর হাওয়া অফিস এই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি।
প্রধানত আমেরিকান এবং ইউরোপীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় গঠনের সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছে। এই নতুন ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হলে এর নাম হবে রেমাল (সাইক্লোন রেমাল)।এখন পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি, তবে অনুমান করা হচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার পর এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হবে এবং ধীরে ধীরে শক্তি সংগ্রহ করবে। ২০ মে থেকে ২৭ মে এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

তবে তার আগেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ফের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ দেখা যাবে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মতো কয়েকটি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কোনো আপডেট না থাকলেও জানা গেছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ঘূর্ণিঝড়ে খুব বেশি ক্ষতি নাও হতে পারে।উপকূলীয় জেলাগুলো সামান্য ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত আনবে বা এর গতি কী হবে তা জানতে হলে আলিপুর হাওয়া অফিসের চূড়ান্ত আপডেটের দিকে নজর রাখতে হবে।