বিনিয়োগ করবেন বলে ভাবছেন? কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। আজ আমরা আপনাদের জন্য এমন একটি দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে হাজির হয়েছি, যেখানে ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে ১৪ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। চলুন আজকের প্রতিবেদন থেকে এই স্কিমটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন-
ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিম কী?
আজ কথা বলবো পোস্ট অফিসের একটি দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে। যে স্কিমের নাম ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা NSC Scheme। এখানে বিনিয়োগ করলে উচ্চ হারে সুদ পাওয়া যায়। এমনিতে পোস্ট অফিসের যে কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করলে ভালো সুদ পাওয়া যায়। একই সাথে বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। তাই বেশির ভাগ মানুষ পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। আপনি যদি নিরাপদ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমের খোঁজ করেন তাহলে NSC স্কিম আপনার জন্য ভালো। আপনার নিকটবর্তী পোস্ট অফিস থেকে এই স্কিমের খাতা খুলতে পারবেন।
NSC স্কিমের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:
- NSC স্কিমে নূন্যতম ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায় এবং এখানে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই।
- এই স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। অর্থাৎ ৫ বছর পর বিনিয়োগকৃত অর্থ সুদ সহ রিটার্ন পাওয়া যায়।
- এই স্কিমে বিনিয়োগ কৃত অর্থের বিপরীতে ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে।
- এখানে বিনিয়োগের উপর সুদের পরিমান আগে থেকে নির্ধারিত থাকে এবং সুদের উপর সুদ পাওয়া যায়।
- বিশেষ বিষয় হলো এখানে আয়কর ধারা ৮০সি অনুযায়ী ১.৫ লক্ষ টাকা কর ছাড় দেওয়া হয়।
কত টাকা সুদ পাওয়া যাচ্ছে?
বর্তমানে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিমে ৭.৭ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। এই সুদের হার ফিক্সড। (NSC Scheme)অর্থাৎ বাজার ওঠা নামা করলেও নিশ্চিত রিটার্ন পাবেন। এই স্কিমে কোনো ব্যাক্তি ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে ১ বছর পর ৭৭০০ টাকা সুদ পাবে। ৫ বছর পর ৩৮৫০০ টাকা সুদ সহ মোট ১,৩৮,৫০০ টাকা রিটার্ন পাবেন।
এই স্কিম থেকে কীভাবে ১৪ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে?
এবার কোনো বিনিয়োগকারী এই স্কিমে যদি ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে এক বছরে সুদ হবে ৮০ হাজার টাকা। (NSC Scheme) পাঁচ বছরে সুদের পরিমান দাঁড়াবে ৪ লক্ষ টাকায়। অর্থাৎ ৫ বছর পর মেয়াদ শেষে সুদ সহ মোট ১৪ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। তাহলেই দেরি না করে আজই পোস্ট অফিসের এই স্কিমে ইনভেস্ট করুন এবং আপনিও এই স্কিমের লাভ ওঠান।