বৃদ্ধ বয়সের ভবিষ্যত চিন্তার দিন শেষ, মাসিক বেতনের মতো পাওয়া যাবে ২০, ৫০০ টাকা , জানুন কিভাবে

বৃদ্ধ বয়সে মানুষের কর্ম ক্ষমতা থাকেনা, থাকেনা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার শক্তিও। তাই মধ্য বয়স থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়তে থাকে সাধারনের কপালে। এর উপর সমাজের কুৎসিত একটি রূপ হিসেবে বৃদ্ধবস্থায় নিজের পিতা মাতাকে বর্জন করা একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময় প্রতিটি মানুষ হয়ে পড়েন অসহায়। অর্থবল না থাকায় আরও ছোট করে দেখা হয় তাদের।

সেই সব দিক ভেবেই ভারত সরকার এবং ভারতীয় ডাকের যুগ্ম প্রচেষ্টায় সামনে আনা হলো সিনিয়র সিটিজেন পেনশন স্কিম। অর্থাৎ বয়স্ক মানুষদের জন্য পেনশন দেওয়ার প্রকল্প। এই প্রকল্পে ৬০ থেকে ৭৫ বছর বয়সী মানুষরা মাত্র ১০০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ কোনো বৃদ্ধ মানুষ যদি তাঁর ৬০ বছর বয়সে পোস্ট অফিসে ৩০ লক্ষ টাকা পাঁচ বছরের জন্য জমা রাখেন তবে তাঁর সুদ হিসেবে মাসিক ২০,৫০০ টাকা ব্যাংকে পাবেন ওই ব্যক্তি।

পোস্ট অফিসে এই প্রকল্পে বর্তমানে ৮.২ শতাংশ সুদ দেওয়া হচ্ছে যা ব্যাংক গুলির তুলনায় ০.৮ শতাংশ বেশি। তাই কোনো ব্যক্তি যদি ৩০ লক্ষ টাকা জমা করেন তবে পাঁচ বছর ধরে তিনি মাসিক ২০৫০০ টাকা নিজের একাউন্টে পাবেন। এবং ত্রৈমাসিক হিসেবে ৬১৫০০ এবং বাৎসরিক ২৪৬০০০ টাকা রিটার্ন পাবেন। অর্থাৎ পাঁচ বছরের রিটার্নের পরিমাণ হবে ১২৩০০০০ টাকা। অর্থাৎ ৩০ লক্ষ টাকার উপর পাঁচ বছরে পাওয়া যাবে ১২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

বৃদ্ধ বয়সের ভবিষ্যত চিন্তার দিন শেষ, মাসিক বেতনের মতো পাওয়া যাবে ২০, ৫০০ টাকা , জানুন কিভাবে
বৃদ্ধ বয়সের ভবিষ্যত চিন্তার দিন শেষ, মাসিক বেতনের মতো পাওয়া যাবে ২০, ৫০০ টাকা , জানুন কিভাবে

আর এই সুদের অর্থই প্রতি মাসের এক তারিখ ওই ব্যক্তির ব্যাংকে সরাসরি দেওয়া হবে। অথবা ত্রৈমাসিক হিসেবে জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবর মাসে ৬১৫০০ টাকার একটি সুদ ঢুকবে। যা ওই ব্যক্তিকে বৃদ্ধ অবস্থায় একটি মজবুত ভবিষ্যত দিতে পারে। এছাড়া ওই ব্যক্তি চাইলে ওই সম পরিমাণ অর্থ রিনিউয়ের মাধ্যমে আরও পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করে দিতে পারবেন। এতে তিনি আরো পাঁচ বছর ওই একই সুবিধা পেতে পারবেন।