জুনের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হয়েছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।এবারের যুগ্ম আয়োজক দেশ হিসেবে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইউএসএ। প্রথম ১৫ দিনে শেষ হলো গ্রুপ লিগের খেলা। প্রাথমিক পর্যায়ে চারটি বিভাগে ভাগ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন দেশের দলকে। এরপর প্রতিটি বিভাগের টেবিলের শীর্ষে থাকা দুটি দল নিয়ে নির্ধারিত হয় সুপার এইট। এরপর বেস্ট চারটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সেমি ফাইনাল ও পরে ফাইনাল।
ভারত প্রথম ধাপে নিজের অনবদ্য পারফরমেন্স দেখিয়েছে ইতিমধ্যে। তাই টেবিল টপার হয়ে এবার সুপার এইটে ভারত। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত কোনো বড় টুর্নামেন্টে জিততে পারেনি। পুরো সিজনে ভালো খেলেও ভরা ডুবি হয়েছে ফাইনাল বা সেমি ফাইনালে। এই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের ব্যথার শেষ নেই। কিছু মাস আগেই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এক দিবসের বিশ্বকাপে পুরো সিজনে অপরাজিত থেকে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে হৃদয় ভাঙ্গে ১৪১ কোটির।
সেই ক্ষত সবে সামলে উঠে আবারও আশায় বুক বাঁধছে ক্রিকেট প্রেমী ভারতীয়রা। আগামী ২০ শে জুন থেকে সুপার এইটে খেলবে ভারত। এবার নির্ধারিত শক্তিশালী দলগুলির মধ্যে হবে প্রতিযোগিতা সেরা চারে আসার। ভারত সহ বাংলাদেশ, আফগানিস্থান, ইউএসএ, অস্ট্রেলিয়া , ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই বেস্ট আটটি দলের থেকেই নির্বাচিত হবে বিজেতা।

এরই মধ্যে বিশ্বের সব থেকে বেশি নামকরা বোলিং এটাক নিয়েও বারবার ব্যর্থ হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে পাকিস্থান। শ্রীলঙ্কাও টিকে থাকতে পারেনি। এশিয়ার দল গুলির মধ্যে ভারত ,বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান স্থান পেয়েছে সুপার এইটে। টুর্নামেন্টের ফল কি হবে জানা যাবে আগামী কিছু দিনেই। ভারতের ক্রিকেট ভক্তদের মনে তাই শঙ্কা মিশ্রিত আনন্দের ভিড় জমেছে।