পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল স্বাস্থ্য সাথী। এটি এমন একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে রাজ্যের নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা দেওয়া হয়। তবে এই প্রকল্পে কারচুপির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, রাজ্য সরকার সেই সমস্ত অভিযোগ অবিলম্বে শেষ করতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
Join Whatsapp Group
Join NowJoin Telegram Group
Join Nowস্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পটি বেশ কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চালু করেছিলেন কিন্তু একবার সীমিত সংখ্যক নাগরিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্কিমটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এই স্কিমটি প্রকাশ্যে আসার পরেও, রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পরিষেবার মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।
কিন্তু কখনও কখনও বেসরকারী হাসপাতালগুলি স্বাস্থ্য অংশীদার প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা দিতে চায় না, কখনও কখনও এই প্রকল্প থেকে অর্থের অনৈতিক অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এখন রাজ্য সরকার এই সমস্ত অভিযোগের অবসান ঘটাতে এবং সমস্ত ধরণের কারচুপি রোধ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ AI ব্যবহার করার দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি সফল হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিকভাবে এ ধরনের প্রযুক্তি স্বাস্থ্য সহযোগী প্রকল্পে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হলে কার্ডটি ব্যবহার হচ্ছে কিনা বা প্যাকেজ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ ইতিমধ্যেই চলছে বলে বোঝা যাচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য সঙ্গী স্কিম কার্ড নিয়ে কোনও ধরনের হেরফের হচ্ছে কিনা তা যেমন জানা যাবে, তেমনি রোগীরাও সহজে সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
যাইহোক, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে আলোচনা করার সময়, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সম্প্রতি এই কার্ডের একটি সুবিধা পরিবর্তন করেছে। অর্থাৎ সরকারি হাসপাতাল ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ছাড়া কেউ হেলথ পার্টনার কার্ডে হাড়ের অস্ত্রোপচার করতে পারবেন না। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকলে ওই সরকারি হাসপাতালের রেফারেল লেটার নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যায়।
IMPORTANS LINKS :-
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট | Click Here |
Telegram Join | Click Here |
Whatsapp Link | Click Here |