CIBIL Score:লোন নেবেন বলে ভাবছেন? রইলো সিবিল স্কোর বাড়ানোর দুর্দান্ত ৫টি টিপস – How TO Make Money

CIBIL Score:লোন নেবেন বলে ভাবছেন? রইলো সিবিল স্কোর বাড়ানোর দুর্দান্ত ৫টি টিপস

বর্তমান কালে যে কোনো কাজের জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজনে লোনই একমাত্র ভরসা। হোম লোন থেকে শুরু করে কার লোন কিংবা পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য ক্রেডিট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্রেডিট স্কোর ভালো না হলে লোন পাওয়া খুব মুশকিল হয়ে পড়ে। ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ক্রেডিট স্কোরের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় ব্যাংক লোন। আপনার ক্রেডিট স্কোর কি কম রয়েছে? কীভাবে ক্রেডিট স্কোর বাড়াবেন? রইলো কিছু টিপস।

ক্রেডিট স্কোর কী?

প্রসঙ্গত ক্রেডিট স্কোর বা CIBIL Score আসলে তা জেনে নেওয়া আগে দরকার। ক্রেডিট হিস্ট্রির উপর ভিত্তি করে ক্রেডিট স্কোর দেখা হয়। আসলে এই ক্রেডিট স্কোরের মাধ্যমে পূর্বের সমস্ত লোনের রিপোর্ট জানা যায়। তাই লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ক্রেডিট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। Credit Information Bureau লিমিটেড নামক সংস্থা আপনার ক্রেডিট হিস্ট্রি নজরে রাখে। কবে, কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং কীভাবে পরিশোধ করেছেন তা এই ক্রেডিট স্কোর থেকে জানতে পারা যাবে।

ভাল ক্রেডিট স্কোর বলতে কী বোঝায়?

সিবিল স্কোর যত ভালো হবে তত ঋণ পেতে সহজ হবে। এমনিতে সিবিল স্কোর ৩০০ থেকে ৯০০-র মধ্যে থেকে হয়ে থাকে। ৩০০ ক্রেডিট স্কোর হলে লোন পাওয়া খুব মুশকিল। সিবিল স্কোর যত ৯০০-র দিকে যাবে তত ভালো হিসাবে ধরা হয়। ৭০০-র উপরে ক্রেডিট স্কোর থাকলে তা ভালো হিসাবে ধরা হয়। ভালো সিবিল স্কোর থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন ভালো সিবিল স্কোর থাকলে সহজেই লোন ঈস্যু হয়ে যায়। ভালো সিবিল স্কোর থাকলে লোনের জন্য বেশি নথির প্রয়োজন হয় না। বিশেষ বিষয় হলো সিবিল স্কোর ভালো হলে লোনের উপর সুদের হার কম লাগে।

তবে কম সিবিল স্কোর লোন ঈস্যুর ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সঠিক ভাবে ঋণ পরিশোধ না করলে সিবিল স্কোর কম হয়। আপনার সিবিল স্কোর কি কম রয়েছে? এ অবস্থায় সিবিল স্কোর বাড়ানোর জন্য কি করবেন? রইলো ৫টি টিপস-

১) সময় মতো পেমেন্ট করুন- লোন পরিশোধ বা কিস্তি জমা দেওয়ার তারিখ মেন্টেন করুন। যে দিন কিস্তির তারিখ সেদিনই কিস্তি মেটানো ভালো। সঠিক সময়ে ইএমআই জমা দিলে ক্রেডিট স্কোর ভালো হয়।

২) ক্রেডিট সীমা পার করবেন না: প্রতিটি ক্রেডিট কার্ডে একটি নির্দিষ্ট পরিমান সীমা বেঁধে দেওয়া থাকে। ক্রেডিট কার্ডে বরাদ্দ সীমার বেশি অতিক্রম করবেন না। তাহলেই সিবিল স্কোর ভালো থাকবে।

৩) বার বার আবেদন না করা: অনেক সময় ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করলে তা বাতিল করে দেয়। এ অবস্থায় বার বার ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন না। তাহলেই ক্রেডিট স্কোরের উপরে প্রভাব পড়ে।

৪)ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেসিও বজায় রাখুন: ক্রেডিট ব্যবহারের হার সমগ্র ক্রেডিট সীমার ৩০ শতাংশের নীচে রাখুন। তাহলে আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকবে।

৫) লোন নেওয়াতে লাগাম: যে কোনো প্রয়োজনেই লোন বা ক্রেডিট নেবেন না। বার বার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে লোন নেবেন না। কিংবা একটি লোন চলতে চলতে আরও একটি লোন নেবেন না। এগুলো মেনে চললে সিবিল স্কোর ভালো থাকে।

প্রয়োজনীয় লিঙ্ক:

Scroll to Top