Old Coins:বাড়িতে পড়ে থাকা পুরনো মুদ্রাই খুলে দিতে পারে আপনার ভাগ্য! পুরনো মুদ্রা বিক্রি করে পেতে পারেন লক্ষাধিক টাকা

বর্তমান সময়ে আমরা ১,২,৫ এবং ১০ টাকার কয়েন দেখতে পেলেও প্রাচীন যুগে ভারতবর্ষে আরো বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা প্রচলিত ছিল। সে সময় মূলত প্রাচীন মুদ্রা গুলির সাহায্যেই লেনদেন করা সম্ভব হতো। এখনো পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই খুঁজলে হয়তো সেসব পুরনো মুদ্রা গুলিকে দেখতে পাওয়া যায়। এই সব মুদ্রার সাহায্যে বর্তমানে লেনদেন করা হয়না বলে অনেক সময় সেগুলি আমাদের বাড়ির আনাচে কানাচে অবহেলায় থেকে যায়। আবার যারা মুদ্রা সংগ্রহ করতে পছন্দ করেন তারা পুরনো মুদ্রা গুলিকে অনেক সময় যত্ন করে রেখেও দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সব পুরনো মুদ্রা বিক্রি করে আপনি লাখ টাকা লাভ করতে পারেন? আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাদের দেশে পুরনো মুদ্রা বিক্রি প্রসঙ্গেই বিস্তারিত তথ্য জানবো আপনাদের।

পুরনো নোট বা কয়েনের মূল্য বৃদ্ধির কারণ-

আমরা অনেকেই শুনেছি পুরনো নোট বা কয়েন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আমরা অনেকেই এই লক্ষাধিক টাকায় পুরনো মুদ্রা বিক্রি হওয়ার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে অবগত নই। আসলে এই দামগুলি নির্ধারিত হয় কয়েকটি বিশেষ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে। সেগুলি হলো –

১) বিরলতা- আপনার কাছে থাকা মুদ্রা যত বিরল হবে বা দুর্লভ হবে সেই মুদ্রার দাম তত বেশি হবে। অর্থাৎ আমাদের ভারতে প্রচলিত থাকা মুদ্রা গুলির উপর বিভিন্ন সময় নানান দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি চিত্রিত হয়েছে, বা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ন কোনো বিশেষ বছরে এই মুদ্রা নির্মিত হয়েছে। সেই ধরণের বিরল কোনো মুদ্রা আপনার কাছে থাকলে তার বিরলতার ভিত্তিতে আপনি লক্ষাধিক টাকা পেতে পারেন।

২) মুদ্রার অবস্থা- যে মুদ্রার অবস্থা যত ভালো তার মূল্য স্বাভাবিক ভাবেই তত বেশি হবে। আপনার কাছে থাকা বিরল কোনো মুদ্রার সমস্ত খোদাই করা ডিজাইন গুলি যদি স্পষ্ট হয় তবে স্বাভাবিক ভাবেই তার থেকে আপনি অনেক বেশি টাকা পাবেন।

৩) ঐতিহাসিক গুরুত্ব- ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ন এমন কোনো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মুদ্রার দাম বাজারে অনেক বেশি হয়। তাই আপনার কাছে যদি কোন ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মুদ্রা থেকে থাকে তবে তার মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন।

৪) চাহিদা- পুরনো মুদ্রা বিক্রি করার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চাহিদা। সংগ্রহকারীদের চাহিদা মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি করে।

পুরনো মুদ্রা বিক্রির পদ্ধতি-

পুরনো মুদ্রা অনেক ভাবে বিক্রি করা সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় কোন কোন ব্যক্তি মুদ্রার ডিলারের কাজ করে থাকেন। আপনার পরিচিত গণ্ডির মধ্যে যদি কোন মুদ্রার ডিলার থাকে তবে তার কাছে আপনি আপনার সংগ্রহে থাকা মুদ্রা গুলি ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। তবে তার সম্ভব না হলে অনলাইনের মাধ্যমেও পুরনো মুদ্রা বিক্রি করা যায়। eBay, CoinBazaar, OLX ইত্যাদি অনলাইন প্লাটফর্ম আছে যেখানে পুরোনো নোট বা কয়েন খুব সহজেই বিক্রি করা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে প্রথমে ওই অনলাইন প্লাটফর্ম গুলিতে একটি সেলার অ্যাকাউন্ট বানাতে হবে। এরপর আপনার নিজের সংগ্রহে থাকা পুরনো নোট বা কয়েন গুলির ছবি তুলে এবং তার সম্বন্ধে বিস্তারিত লিখে বিক্রির জন্য একটি তালিকা তৈরি করতে হবে।

ভারতে মুদ্রা বিক্রির আইন সংক্রান্ত নির্দেশ-

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশ অনুসারে যেসব মুদ্রা গুলি বর্তমান বাজারে প্রচলিত আছে সেগুলি বিক্রি করা আইনত অপরাধ। তবে যেসব পুরনো মুদ্রা বলে প্রাচীন ভারতবর্ষের বুকে চালু থাকলেও বর্তমানে সময়ে সেগুলি আর ব্যবহার করা হয় না, নিয়ম অনুসারে সেগুলি বিক্রি করা যেতে পারে। তবে জালিয়াতি বা অর্থায়ন ইত্যাদি সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোন বিষয় জড়িয়ে পড়লে সেই পুরনো মুদ্রা বিক্রি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখা প্রয়োজন আপনার কাছে থাকা পুরনো বা বিরল কোন মুদ্রা, যা বর্তমান বাজারে চলনশীল নয়, সেগুলি আপনি বিক্রি করতেই পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তাই পুরনো মুদ্রার বিক্রির নিয়মকানুন সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে তবেই নিজের কাছে থাকা বিরল মুদ্রা গুলি বিক্রি করার চেষ্টা করা ভালো। আর তা যদি করতে পারেন তবে খুব সহজেই লাখ লাখ টাকার মালিক হতে পারেন আপনও।

প্রয়োজনীয় লিঙ্ক: