মাসে ২০০/- টাকার স্কলারশিপ এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর অবিবাহিত ছাত্রী মিলবে এক লক্ষ টাকা

ছাত্রী শিক্ষা বিকাশে মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক অন্যতম সাহায্যকারী প্রকল্প হলো লাডলি লক্ষী যোজনা। যা ২০০৭ সালে প্রথম প্রস্তবায়ন করা হয়। দরিদ্র জন্য সন্তানদের শিক্ষার বিকাশ এবং ভালো জীবনের মান উপহার দিতেই এই প্রকল্প সামনে আনা হয়। জানলে অবাক হবেন পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প আনা হয়নি বলে।

এই প্রকল্পে সরকারি ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে যদি কোনো ছাত্রীর নাম রেজিষ্টার করিয়ে ৬০০০/- টাকা প্রতি বছর হিসেবে পরপর পাঁচ বছর সঞ্চয় করা হয় তবে ওই ছাত্রী তার সেকেন্ডারি পড়াশুনোর সময় মাসিক ২০০ টাকা স্কলারশিপ পাবে এবং যদি ওই ছাত্রী ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহিত না হয় তবে ২১ বছর বয়সে এক কালীন এক লক্ষ টাকার একটি অনুদান পাবেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে নাবালিকা বিবাহ ও শিক্ষার চাহিদা বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়। নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে কোন শ্রেণীতে পড়াকালীন তার উপর ভিত্তি করে ষষ্ঠ, নবম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পরার সময় তারা ওই মাসিক ২০০ টাকার অর্থ সাহায্য পেতে পারে।

মাসে ২০০/- টাকার স্কলারশিপ এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর অবিবাহিত ছাত্রী মিলবে এক লক্ষ টাকা
মাসে ২০০/- টাকার স্কলারশিপ এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর অবিবাহিত ছাত্রী মিলবে এক লক্ষ টাকা

মধ্য প্রদেশ সরকার এই যোজনার মাধ্যমে সমাজের দুঃস্থ শ্রেণীর ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে এবং নাবালিকা বিবাহের হার কমাতে এই কাজে ব্রতী হয়েছেন। ভারতের সব রাজ্যেই দুঃস্থ শ্রেণীর মানুষের বাস রয়েছে। এই সব পরিবারে মেয়েদের ছোট বয়সে বিয়ে দেওয়া এবং তারপর অল্প দিনেই অপরিণত শরীরে প্রসবের সময় গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুর মতো ঘটনা বেশি দেখা যায়। আর এসব বিষয়ে সচেতন করলেও অনেক নিয়ম বা আইন থাকলেও ইচ্ছে সত্বেও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় দুঃস্থ পরিবারের মেয়েরা। তাদের অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত উন্নতির জন্য এই প্রকল্প ভারতের বহু গুণী জনের কাছে বাহবা পেয়েছে।