ভ্লগিং বা সমাজ মাধ্যমে বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে গিয়ে নিজের বা পরিবারের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? আজই সাবধান হন

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কর্ম সংস্থানের সুযোগও আসছে এই মাধ্যম থেকেই। তাই ভ্লগ করা, রিলস ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রেও হিড়িক পড়ে গেছে। যেহেতু ভিডিওতে কত মানুষ দেখছে বা কমেন্ট করছে তার উপরেই প্রফাইলের স্বীকৃতি এবং পারিশ্রমিক মেলার সিদ্ধান্ত নির্ভর করে তাই দেখনদারি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই ভাবেই ডেকে আনছেন না তো নিজের এবং আপন জনদের বিপদ?

সমাজ মাধিমগুলিতে ভিউজ বাড়াতে করা ভিডিও বা ভ্লগেই ডেকে আনছেন আপনার বিপদ। আজই সাবধান হোন। শহর তথা গোটা রাজ্যে রোজ কিছুনা কিছু চুরি, রাহাজানি বা অপহরণের মতো খবর জনসমক্ষে উঠে আসছে। এর সবটাই কি কাকতালীয়? এর উত্তরে একটি বড় না জানিয়েছেন সাইবার ক্রাইমের বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে ভিডিও বা ভ্লগ শেয়ার করার মাধ্যমে সমাজ মাধ্যম ব্যবহার কারীরা নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনছেন প্রতি নিয়ত। নিজেছের ব্যক্তিগত তথ্য সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছেন। হয়তো তারা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার কথা ঠিক হওয়ার আনন্দ সবার সামনে ভাগ করে নিলেন, এতে করে কিছু খারাপ মানুষের হয়তো জানা হয়ে গেলো আপনারা কখন বাড়িতে থাকছেন না। এরপর একদিন পরিকল্পনা করে চুরি বা ডাকাতি হলো।

হয়তো ভ্লগের মাধ্যমে নিজের বাড়ির হোম টুরের ভিডিও সকলের সাথে ভাগ করে নিলেন এতেও নজর পড়তে পরে চোর বা ডাকাতদের। বা যদি কেউ নিজের ব্যক্তিগত জীবনের রোজকার ভ্লগ বানাতে থাকেন তাহলে অনায়াসেই আপনার এবং আপনার কাছের মানুষদের রোজকার রুটিন হয়তো জানা হয়ে গেলো কোনো দুষ্ট লোকের এরপর অপহরণ বা চুরি ডাকাতির ঘটনা নেহাত অসম্ভব নয়।

তাই বিশিষ্ঠদের মতে সমাজ মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে তুলে না ধরাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নইলে দিন দিন স্বীকৃত না হলেও সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া বই কমবে না।