আধুনিক ভারতের সব থেকে বড় সমস্যা গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো সাইবার ক্রাইম। এতদিন ফোন করে ব্যাংকের সমস্ত তথ্য ঠিক করার নামে লুট করা হতো ব্যাংক একাউন্ট। এখন সেই বিষয়ে মানুষ অনেক সচেতন। সরকারের পক্ষে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কর্মসূচির করা হয়। ফলে মানুষ অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে অচেনা কাউকে নিজের সম্বন্ধে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন হ্য়েছেন।
কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। কথায় আছে খলের ছলের অভাব হয়না। অর্থাৎ যে বা যারা খারাপ কাজে মন দিতে চায় তাদের ঠিক কোনো না কোনো উপায় হয়ে যায়। আর এবারের উপায়টি হলো AI। অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এর মাধ্যমে কারো মুখ ব্যবহার করে যেকোনো রকম ফটো বা ভিডিও কল করে টাকা চাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
আবার এই AI er মাধ্যমেই কারো গলা নকল করে ফোন করা সম্ভব। অর্থাৎ ফোনের ওপারে চেনা গলা পেলেই নিশ্চিত হই। এবার সে টাকা চেলেও কোনো ভাবনা আসেনা অথচ আমরা অনায়াসেই সেই অর্থ দিয়ে থাকি। এখানেই হয় ভুল।
এসব প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে কেউ যোগাযোগ করলেও তাকে একবার ফোন হারিয়ে গিয়ে আর এক ভয়ানক কান্ড। নিজের ফোনের সমস্ত জায়গায় উপস্থিত পাসওয়ার্ড গুলি পনেরো দিনের ব্যবধানে পরিবর্তন করতে হয়। এতে হ্যাকারদের নজর পড়লেও ডিভাইস কন্ট্রোল করতে পারে।

এছাড়াও কেউ টাকা চাইলে ওই ব্যক্তিকে আবার ফোন করে খবর নিয়ে বা সরাসরি তার সামনে গিয়ে কথা বলার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে তবেই অনলাইন টাকা পয়সার লেন দেন করতে নির্দেশ দিয়েছে সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ।