সুনিশ্চিত এবং সুরক্ষিত ভবিষ্যতের পথে সাধারণ মানুষের বহু পুরানো এবং বিশ্বত সংস্থা হলো LIC। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন বীমা প্রদান করাই এই সংস্থার লক্ষ্য। এর মাধ্যমে শিক্ষা, সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এমনকি মৃত্যু পরবর্তী কভারেজও দেওয়া হয়। ভালো সুদের হারের সঙ্গে নিশ্চিত রিটার্নের সুযোগও থাকে। তাই প্রায় সব শ্রেণীর মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা হয়ে ওঠে LIC। আর এবার এই LIC এর নাম জড়ালো জালিয়াতির সাথে।
আজকাল বিভিন্ন সংস্থা পলিসি কেনার জন্য গ্রাহকদের প্রলোভন দেখাচ্ছে। কোনো ব্যক্তি যদি মাঝ পথে তাঁর পলিসির প্রিমিয়াম জমা দিতে ব্যার্থ হন তবে সেক্ষেত্রে পলিসি সারেন্ডার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সুদের হারে কিছুটা পেনাল্টি কেটে জমাকৃত অর্থ সহ সুদ দেওয়া হয়। যদিও ব্যর্থতার কারণ সাপেক্ষে প্রমাণ দিতে হয় নির্দিষ্ট সংস্থায়। LIC এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য রয়েছে একই নিয়ম। কিন্তু এবার এর মধ্যেই জালিয়াতির খবর উঠে আসায় সরাসরি গ্রাহকদের উদ্দ্যেশ্যে বার্তা দিলো সংস্থা।
অন্যান্য কিছু সংস্থায় LIC এর তুলনায় বেশি পরিমাণ অর্থ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহক দের সংশয় বাড়াচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা বেশি অর্থের লোভে ভালো করে না জেনে বুঝেই পলিসি বিক্রি করছেন বাইরের সংস্থায়। আবার কিছু সংস্থা পলিসি কেনার জন্যউ গ্রাহকদের আবেদন করছেন। কিন্তু LIC এর সর্বচ্চো দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে এরকম পলিসি কেনা বা বেচার জন্য অন্য কোনো সংস্থার সাথে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।

গ্রাহকদের আবেদন করা হয়েছে তারা যেনো এই রকম কোনো সংস্থার হয়ে পলিসি কেনা বেচা করতে চাইলে তাদের লাইফ কভারেজ এবং অন্য সমস্ত সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বিষয়ের নথি ভালো করে বুঝে নিজে দায়িত্ব নিয়ে যেনো সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ এই বিষয়ে প্রতারণার স্বীকার হলে সেই দায় LIC সংস্থার নয়। ১৯৩৮ সালে প্রকাশ পাওয়া বীমা আইন খতিয়ে দেখতে বলাও হয়েছে গ্রাহকদের। বলা হচ্ছে এর সাথে সরাসরি LIC এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এই বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে LIC এর তরফে।