চাষের ক্ষতি হলে টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার! আগেভাগে আবেদন করুন | Pradhan Mantri Fasal Bima Yojana

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

প্রতিবছরই অসময়ের বৃষ্টিতে কৃষিকাজে ক্ষতি হয় বা ফসল ফলেনা (Pradhan Mantri Fasal Bima Yojana)এমন ঘটনার সম্মুখীন ভারতের কৃষকরা পড়ে। অনেক আশায় চাষ করলেও বহু কৃষক প্রতি বছর প্রাকৃতিক অসুবিধার কারণে ক্ষতির অভিশাপে পড়ে। কৃষকরা যদিও ক্ষতির আশঙ্কায় চাষ বাড়িয়ে রেখেছেন, তবে তারা চাষবাস ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন। তারা আশা রাখেন, বিভিন্ন বিকল্প জীবিকা পাবেন। যেহেতু প্রাকৃতিক অসুবিধার কারণে কৃষিকাজে ক্ষতি ঘটে, তাই কেন্দ্রের কাছে একটি বিশেষ প্রকল্পের আয়োজন করা হয়েছে যাতে কৃষকরা সমস্যায় পড়েন না।

এবার থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকরা। জীবন বিমার মতই মোদি সরকার চালু করেছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা। কৃষকরা এই বিমা করলেই ফসলের ক্ষতিতে পাবেন ক্ষতিপূরণ। ২০১৬ সালে এই প্রকল্প নিয়ে এসেছে মোদি সরকার। গত সাত বছরে ক্রমশই এই বিমায় কৃষকদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।

যখন কৃষকরা চাষ করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে, তখন তাদের সংসারের অর্থনৈতিক স্থিতি দৃঢ় থাকতে হয় যাতে তারা কৃষিকাজ থেকে বিরত না হন।(Pradhan Mantri Fasal Bima Yojana) এই ধারণার সাথে, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা শুরু করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষি কাজে ক্ষতির হার বেড়ে চলেছে। এই সময়ে, ফসল বীমা প্রকল্পটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কৃষকদের মধ্যে। গত আর্থিক বছরে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা প্রকল্পের উপভোগকারী সংখ্যা প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন »   SIP: SIP-তে বিনিয়োগ করার আগে মাথায় রাখুন এই ৪ টি জিনিস, নাহলে নষ্ট হবে টাকা

তবে এই বিমায় কৃষি কাজে হ‌ওয়া ক্ষতিপূরণ পেতে হলে আগে থেকে প্রিমিয়াম দিয়ে বিমা’টি করে রাখতে হবে দেশের কৃষকদের। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কৃষকদের থেকে ১০০ টাকা বিমার প্রিমিয়াম নেওয়া পিছু ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ, এই অনুপাতে কৃষিকাজের ক্ষতির জন্য কৃষকদের অর্থ দেওয়া হয়েছে। ৫৬.৮ কোটি কৃষক গত অর্থবর্ষে এই বিমার আওতায় উপকৃত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

কীভাবে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা আবেদন করতে হবে?

  • (1) নিকটবর্তী সরকারি ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা করা সম্ভব।
  • (2) তবে এই সুবিধা অনেক বেশি পোস্ট অফিসে উপলব্ধ।
  • (3) এই বিমা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষকের কাছে প্যান কার্ড আধার কার্ডের পাশাপাশি নিজের জমির প্রমাণপত্র এবং তিনি যে ফসল রোপন করেছেন তার নথি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন »   Kotak Mahindra Bank: কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য দারুণ খবর! জেনেনিন

উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের মতই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলার কৃষকদের জন্য চালু রেখেছে বাংলা শস্য বিমা। যদিও রাজ্য সরকারের ওই বিমা প্রকল্পে কৃষকদের প্রিমিয়াম দিতে হয় না, সেই অর্থ সরকার নিজেই দিয়ে দেয়।

প্রয়োজনীয় লিঙ্ক:

Leave a comment

জয়েন গ্রুপ

জয়েন গ্রুপ

ফলো পেজ

G-news