CAA Act: ভারতে চালু হয়ে গেল CAA, এবার কী হবে? – How TO Make Money

CAA Act: ভারতে চালু হয়ে গেল CAA, এবার কী হবে?

CAA Act 2024: লোকসভা নির্বাচনে ঠিক আগে বিরাট চাল কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রতিশ্রুতি মত দেশে লাগু হয়ে গেল CAA. সোমবার বিকেলে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট কার্যকর করা নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০১৯ সালে সংসদে CAA আইন পাস হলে এবং রাষ্ট্রপতি সই করে দেওয়া সত্ত্বেও এতদিন গেজেট নোটিফিকেশন জারি হয়নি বলে এটি কার্যকর হয়নি।

যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাসখানেক আগে থেকেই বলে আসছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই CAA কার্যকর করা হবে।(CAA Act) সূত্রের খবর সোমবার রাতের মধ্যেই দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে যেতে পারে CAA. ফলে এদিন রাত থেকেই ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন এ দেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের একাংশ!

CAA কী? (What is CAA in Bengali)

২০১৯ সালে সংসদে পাস হওয়া সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নিপীড়নের শিকার হয়ে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভারতে আশ্রয় নেবেন, তাঁদের কোনরকম নথিপত্র ছাড়াই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘু বলতে কাদের বলা হচ্ছে সেটাও CAA-তে নির্দিষ্ট করা আছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও পার্সি-রা যদি ধর্মীয় নিপীড়ন বা অন্য কোন‌ও অত্যাচারের কারণে নিজেদের বাঁচাতে ভারতে এসে আশ্রয় নেন। তবে তাদের CAA আইনে আবেদন করলেই নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই আশ্রয় নেওয়ার সময়টা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।

সাধারণত ভারতে আশ্রয় নেওয়ার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নিয়ম হল, এদেশে টানা ১ বছর থাকতে হবে এবং শেষ ১৫ বছরের মধ্যে ১১ বছর বসবাস করতে হবে। কিন্তু CAA-তে ওই তিন দেশ থেকে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১১ বছরের সময়সীমাটা কমে মাত্র ৫ বছর করা হয়েছে।

যদিও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যদি কোন‌ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন তবে তিনি CAA-র অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন না।

CAA নিয়ে বিতর্ক কোথায়?

  • (1) বিরোধীদের অভিযোগ, এই প্রথম ধর্মের ভিত্তিতে ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দেওয়া হতে চলেছে।
  • (2) কেন ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না সেই নিয়ে প্রশ্নের সমাধান এখনও হয়নি।
  • (3) কেন শুধু বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-কে বেছে নেওয়া হল সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা, মায়ানমারেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের শিকার হন। তাঁদেরকে কেন CAA-র সুবিধা দেওয়া হবে না সেই নিয়ে বিরোধীদের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
  • (4) শ্রীলঙ্কায় অত্যাচারিত তামিল হিন্দু’দের ও মায়ানমারে অত্যাচারের শিকার হওয়া সংখ্যালঘু মুসলমানদের কেন CAA-র সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
  • (5) বিরোধীদের অভিযোগ, CAA কার্যকর করে আসলে দেশজুড়ে NRC লাগু করার দিকে একধাপ এগিয়ে যেতে চলেছে মোদি সরকার। এর মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে দেশে প্রথম সামগ্রিক নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।

প্রয়োজনীয় লিঙ্ক:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top