আজ থেকে 10-12 বছর আগেও পাঁচ বছরে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার বিষয়টা অস্বাভাবিক কিছু ছিলনা। পরে কৃষকদের জন্য চালু হওয়া ভারত সরকারের কৃষক বিকাশ পাত্র জজনাতেও মিলতো একই সুবিধা। যদিও সেসব এখন ইতিহাসের পাতায়। এখন টাকা ডবল হতে সময় লাগে অন্তত দশ বছর বা তারও বেশি সময়। অর্থাৎ আগের মতো টাকা ডবল হতে এখন ডবল সময় ব্যয় করতে হবে গ্রাহকদের। তবে পুরো পুরি ইতিহাস হয়ে যায়নি পাঁচ বছরে টাকা ডবল হওয়ার বিষয়টি। এর জন্য রয়েছে LIC এর ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যান।
এটি একটি একক প্রিমিয়ামের , ইউলিপ , নন পার্টিসিপেন্ট জীবন বীমা প্ল্যান। এতে একবার প্রিমিয়াম জমা দিয়েই জীবন বিমার কভারেজ পাওয়া যায়। সঙ্গে মেয়াদ শেষে মেলে জমা অর্থের দ্বিগুণ। অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবেই এই প্ল্যান এখনো পাওয়া যায়।
পলিসিতে যোগ থাকছে কিছু ঝুঁকি , যা গ্রাহক চাইলে নাও নিতে পারেন। তবে যদি গ্রাহক ঝুঁকি নেন তবে পনেরো শতাংশ NAV এর মাধ্যমে পাঁচ বছরেই মিলবে দুই গুণ টাকা। আর যদি গ্রাহক ঝুঁকি না নেন তবে পাঁচ বছরেই টাকা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। তবে এই প্ল্যানটিতে গ্রাহক কে এক বারেই একটি প্রিমিয়ামের মাধ্যমেই সব টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এতে মাসিক বা বাৎসরিক প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।

এই স্কিমে আর পাঁচটি বিমার মতোই দুর্ঘটনা এবং জীবন বীমা কভারেজ মিলবে। সাধারণের মতো এর ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করা অর্থের উপর নির্ভর করবে ওই ব্যক্তি কত টাকা দুর্ঘটনার জন্য কভারেজ পাবেন। এছাড়াও পলিসি চলা কালীন ওই ব্যক্তি মারা গেলে রিস্ক শুরুর আগে হলে জমা করা টাকা এবং রিস্ক শুরুর পর হলে জমা করা টাকা সহ ফান্ডের টাকাও পাবেন। আর যদি ওই ব্যক্তি রিস্ক শেষ হওয়ার পর মারা যান তবে সেক্ষেত্রে বড় রিটার্নের দেওয়ার কথা বলা হয়েছে LIC এর তরফে। এছাড়াও ফান্ড সরেন্ডারের উপায়ও থাকছে অর্থাৎ কোনো গ্রাহক ফান্ড সারেন্ডার করলে জমাকৃত অর্থসহ ডিসকাউন্ট সুদের হারে অর্থ ফেরত দেবে লাইফ ইন্সুরেন্স করপোরেশন।