সরকারি ভাবে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কাজের সুযোগ মহিলাদের জন্য জানুন বিশদে – How TO Make Money

সরকারি ভাবে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কাজের সুযোগ মহিলাদের জন্য জানুন বিশদে

ইতিহাসের যুগ থেকেই নারীরা সমাজের দুর্বল এবং অবহেলিত অংশ হয়ে রয়ে গিয়েছে। সমাজের উন্নতি হলেও কিছু কিছু জায়গায় মহিলাদের উন্নতির একটি সিকেও ছেঁড়েনি। তাই মহিলাদের উন্নতিতে ভারত সরকারের আঞ্চলিক উন্নয়ক বিভাগের প্রচেষ্টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তত্বাবধানে শুরু হয় আনন্দধারা প্রকল্প। বিনামূল্যে গ্রামের মেয়েদের স্বাবলম্বী এবং স্বাধীনচেতা করে তুলতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রচেষ্টা।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার সমস্ত চাহিদা সম্পন্ন মহিলাদের কর্মমুখী ও স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য এবং বিশেষ করে গ্রামীণ মহিলাদের কিছু কর্মমুখী ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে নিজের পরিচয় তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে । সরাসরি পঞ্চায়েত বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের কার্যালয় থেকে মহিলাদের বিভিন্ন কর্মমুখী ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। যাতে মহিলারা সমাজে আর লাঞ্ছিত না হয়ে নিজের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

আনন্দধারা প্রকল্পে মহিলাদের বিভিন্ন হাতের কাজ শেখানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা নিজেদের সাংসারিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েও ফাঁকা সময় কাজ করে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন।এই প্রকল্পের অন্যতম একটি লক্ষ্য হলো দারিদ্রতা দুর করা। দরিদ্র সিনার নিচের পরিবার গুলোতে একজনের আয়ের উপর ভিত্তি করে জীবনধারণ ভীষণ রকম কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকারি ভাবে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কাজের সুযোগ মহিলাদের জন্য জানুন বিশদে
সরকারি ভাবে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কাজের সুযোগ মহিলাদের জন্য জানুন বিশদে

এর সাথে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সমাজের নিম্ন শ্রেণীতে নামলে দেখা যাবে অভাবের মধ্যে শিশু শ্রম ও শিশুদের শিক্ষার অভাব কিভাবে বাড়ছে। আর এই লজ্জাদায়ক সমস্যার সমাধান করতেই ২০১২ সালে প্রথম এই প্রকল্পটি সামনে আনা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহিলাদের গোষ্ঠীর সদস্যদের এই ট্রেনিং দেওয়া হয়। গবাদি পশু চাষ, খামার বা রান্না , সেলাই, পাটের তন্তু ব্যাবহার করে পুতুল তৈরি , টুপি তৈরি ইত্যাদি আরও অনেক বিষয় সম্পর্কেও শিক্ষা দেওয়া হয়েছে আনন্দধারা প্রকল্পে। ইতিমধ্যে আনন্দধারা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের নিচু শ্রেণী থেকে উপর পর্যন্ত।

Scroll to Top