কিছুদিন আগেই সুন্দরী মনিপুর উঠে আসে খবরের শিরোনামে। কারন যদিও সুন্দর নয়। নগ্ন অবস্থায় একদল পুরুষের দ্বারা প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটানো হয় দুই মহিলা কে, তোলা হয় ভিডিও। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনিপুর। এখনও সেখানে শান্তি ফেরেনি। এবার সেই ঘটনার ছায়া পড়ল খোদ কলকাতায়।
কলকাতার একটি বেসরকারি আইন কলেজের শিক্ষিকা চলতি বছরের রমজান মাস থেকেই হিজাব পরে কলেজে আসতে শুরু করেন। প্রথমে কিছু দিন স্বাভাবিক থাকলেও পরে মৌখিক ভাবে কলেজে হিজাব না পরে আসার কথা বলা হয়েছে। যখন তারপরও তিনি হিজাব পরে আস্তে থাকলেন তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ তার উপর নানা রকম বাজে ব্যবহার করতে থাকেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই হইচই পড়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম আচরণে স্তম্ভিত সকলে।
দক্ষিণ কলকাতার LDS ল কলেজের ঘটনা। উক্ত ঘটনায় বাধ্য হয়ে ৫ই জুন চাকরী থেকে পদত্যাগ করেন ওই শিক্ষিকা। পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানান উচ্চ শিক্ষার এই যুগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই যদি পোশাকের স্বাধীনতা ভঙ্গ হয় তাহলে কিছু করার নেই। তিনি এও বলেন তিনি নিজের ধর্ম বিশ্বাসের কথা কর্তৃপক্ষকে জানান, কিন্তু সে বিষয়ে কর্ণপাত করেনি তারা। উল্টে চাপানো হয় নতুন পোশাকের ব্যবহারবিধি।

কার্যত প্রতি নিয়ত মানসিক অত্যাচার করা হয় ওই শিক্ষিকার উপর। তাই একরকম বাধ্য হতেই ওই শিক্ষিকা চাকরী থেকে নিজে ইস্তফা দেন। আইন পড়ার কলেজেই আইন ভাঙার এই ঘটনা ইতিমধ্যেই জনগণের মাধ্যমে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।