গত কিছুদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে। কিছু কিছু জেলায় স্বল্প স্বস্তির বৃষ্টি হলেও তা স্থায়ী নয় এবং সব জায়গাতেও দেখা মেলেনি বৃষ্টির। উষ্ণতা ৪৪ ডিগ্রি থেকে কমে ৩৬-৩৭ ডিগ্রিতে নামলেও অসস্তি বেড়েছে। সকাল ১০ টার পর বাইরে বেরোনো মুশকিল এবং তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য হিট স্ট্রোকের মতো প্রাণ হানির সম্ভাবনাও দেখা যায়।
এরই মধ্যে এলো সুখবর। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হলো বঙ্গে নামবে বৃষ্টি। অপেক্ষা আর দু দিনের। আগামী ১৩ তারিখে বঙ্গোপসাগর পার করে পরিণত বর্ষার মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ বঙ্গে ঢুকবে বলেই অনুমান। আর তারপরই শুরু হবে বঙ্গের বর্ষার রাজ। ১৩ তারিখ থেকেই বৃষ্টির আশঙ্কা করছে হওয়া অফিস। তবে ১৪ তারিখ থেকেই রাজ্যের সব জেলায় বৃষ্টি ঝেঁপে আসবে বলে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখ বাংলার সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জানা যাচ্ছে। তবে এখনই ভরা বর্ষার দেখা মিলবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে সাময়িক হলেও স্বস্তি মিলবে দক্ষিণবঙ্গবাসীদের।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কমলা ও লাল তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিট স্ট্রোক, হৃদযন্ত্রের গণ্ডগোল, স্ট্রোক ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। এই ভয়াবহ গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তির খবরে আশ্বস্ত সাধারণ মানুষেরা।

বঙ্গে বর্ষা রানীর স্থায়ী আগমনের অপেক্ষায় এখন দিন গুনছে সবাই। তীব্র গরমে পাখা ও এসির অতিরিক্ত ব্যবহারে বিদ্যুতের ঘাটতিও পড়ছে। গরম থেকে বাঁচতে এসির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসে না জানিয়েই। এর ফলে সেই চাপ সামলাতে ভুগতে হচ্ছে নিম্ন শ্রেণীর সাধারণ মানুষদের। বর্ষার আগমনেই সব সমস্যার সমাধান খুঁজে নিয়ে অপেক্ষায় দিন গুনছে দক্ষিণ বঙ্গবাসী ।