দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সেভাবে দেখা না মিললেও উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টির দেখা মিলেছে। তা থেকেই পাহাড়ে বিপত্তি। ফুঁসছে পাহাড়ি নদী তিস্তা। প্রবল ক্ষতির মুখে সিকিম, আটকে রয়েছে হাজার হাজার পর্যটক। গত বছর অক্টোবরেই ভয়াবহ তিস্তার রূপ দেখেছে সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকরা। আবারো কি একই পরিস্থিতি হতে চলেছে? ভয়ে কাঁটা স্থানীয় মানুষেরা।
ইতিমধ্যেই সিকিম যাওয়ার পথে অর্থাৎ ১০ নং জাতীয় সড়কে ধস নামার খবর এসেছে। এছাড়াও রাজধানী শহর গ্যাংটক ও সিংটামে। এখনও অবধি সব চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সিকিমের মাজওয়া গ্রাম। রাস্তায় আকস্মিক ধস নেমে এই বিপদকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বিপদে পড়েছেন পর্যটকেরা। বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় কেউ। আর এই অবস্থায় আটকে পড়া পর্যটকরা আরও বিপদে পড়ছেন, টাকার যোগান পেতেও তাদের সমস্যা হচ্ছে। ধসের কারণে যাওয়া এবং আসার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এখনও অবধি ধসের নিচে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও নিখোঁজ ৬ জন।
সিকিমের বেশিরভাগ জায়গাতেই এখন মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই অর্থাৎ ধীরে ধীরে বহির্জগতের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে সিকিম। কয়েকটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে, বাড়ি রাস্তাঘাট ফসল , পোষ্য প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুল পরিমাণে। তিস্তার জলের তোরে ভেঙে যাচ্ছে বাড়িঘর, আর নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে পাহাড়ে ধসের সৃষ্টি হচ্ছে। এখনও আবহাওয়া উন্নতির হওয়ার কোনো খবর নেই উত্তরের রাজ্য ও শহর গুলিতে বরং অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
কবে আবার পাহাড়ে সূর্য উঠবে, তিস্তা শান্ত হবে , বিপর্যস্ত মানুষেরা নিজেদের ঘরে ফিরবে সেদিকেই নজর সকলের। এখনই সরকারের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যেতে বারণ করা হচ্ছে পর্যটকদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাবধানে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আটকে থাকা পর্যটকদের।