বিদ্যালয় শিক্ষা এবং জ্ঞান দপ্তরের প্রচেষ্টায় ভারত সরকারের স্বীকৃত একটি কর্ম “বিদ্যঞ্জলী” কে সামনে আনা হয়েছে। এই প্রকল্পে কাজ হবে দুই রকম পদ্ধতিতে। সমাজের দুই শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করার জন্য। এই প্রকল্পের লক্ষ্য সমাজের সব শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া এবং সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপরে দেখা। ও শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে মেধাবী দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীর মেধাবী হওয়া আবশ্যক। সমাজের দুঃস্থ শ্রেণীতেও যাতে শিক্ষার হাওয়া পৌঁছায় এবং আগামীর যুব সমাজ নিজের শিবনে শিক্ষার প্রভাব আনতে পারে সেই জন্যই এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের চেষ্টায় আছেন সকলেই।
এই প্রকল্পের আওতায় দুটি আলাদা শ্রেণীর মানুষ জড়িত থাকার কথা ভাবা হয়েছে। এক যাঁরা এই সুবিধা পাবে। দেশের প্রত্যেকটি সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এই সুবিধার অন্তর্গত হতে পারবে। আরেকটি শ্রেণী হবে সমাজের উচ্চ বৃত্ত মানুষেরা। অর্থাৎ মানুষের সাহায্যে মানুষ এই নীতিতেই এগোবে বিদ্যঞ্জলি। সমাজের প্রাইভেট বা সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত বা অবসর প্রাপ্ত যেকোনো সাধারণ মানুষ বিদ্যঞ্জলীর ওয়েবসাইটে সরাসরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নাম রেজিষ্টার করাতে পারবেন।

এক্ষেত্রে শুধু ব্যাক্তিই নয় বরং কোনো সংস্থাও এগিয়ে আসতে পারবেন সাহায্যের জন্য। এতে সরকারি বিদ্যালয় গুলির গঠনগত মান উন্নতি করবে এবং ভারতের শিক্ষার পরিকাঠামো আরও মজবুত ও দৃঢ় হবে। এবং এও আশা করা যায় এর থেকেই আগামী প্রজন্মও নিজেদের প্রাপ্ত বিদ্যার জন্য অঞ্জলী দিতে শিখবে।