এপ্রিলেই পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন তার ঠিক আগেই ২৭ সে ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া জেলার একটি আনুষ্ঠানিক প্রশাসনিক সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের চাকরীর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল কেন্দ্রিক জেলা দক্ষিণ বঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও সুন্দরবন অঞ্চল এবং উত্তর বঙ্গের আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কোচবিহার , জলপাইগুড়ি জেলাগুলিতে বন্য প্রাণীর উপদ্রব রয়েছে। ওই অঞ্চলের কেউ বন্য প্রাণীর উপদ্রবে প্রাণ হারালে তার পরিবারকে এককালীন ৫ লাখ টাকা এবং পরিবারের একজন সদস্য কে চাকরী দেওয়া হবে । ২৭ সে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই চাকরীর ব্যাপারে জানান ।
রাজ্য এক হাজার ফরেস্ট ভলেন্টিয়ার নিয়োগ হবে। যে সব পরিবারের লোক জঙ্গলে গিয়ে নিহত হয়েছে সেই পরিবারের একজন সদস্য এই চাকরী পাবে। খুব তারাতারি ৭০০ জন কে এই চাকরী দেওয়া হবে । ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদনীপুরের, পুরুলিয়া, জলপাইগুড়ির মতো জেলা গুলির মধ্য থেকে ২০১১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৩৮ টি আবেদন এসেছে। ফরেস্ট ভলেন্টিয়ার এর স্যালারি হবে ১২০০০ টাকা এবং ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরী টি থাকবে।
সুন্দরবনে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ এবং অন্যান্য জেলা গুলিতেবিভিন্ন বন্য পশু সহ বন্য হাতির উপদ্রব রয়েছে। ওই অঞ্চল গুলির বেশির ভাগ মানুষ জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। হাতির হামলায় প্রাণ হারালে সেই পরিবারের একজন সদস্য কে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড হিসাবে চাকরি পাবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান সাঁওতালি স্কুল গুলোতে খুব দ্রুত আলচিকি ভাষার, ৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে । এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী নতুন নতুন হোটেল তৈরির করে ইকো ট্যুরিজম এর উন্নতির প্রতি আশা রেখেছেন । মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান মা মাটি মানুষ তৃণমূল সরকার সর্বদা মানুষের কাছে মানুষের পাশে রয়েছে । বাম আমলে এই সব প্রকল্প গুলি মিলত না , আর্থিক ক্ষতিপূরণও মিলত না সেইভাবে ।কেন্দ্রীয় সরকারের ও বনিপ্রানীর উপদ্রবের বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই। কার্যত যা করার রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে।তবে রাতারাতি বন্য হাতির উপদ্রব সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ সম্ভব নয় দেখেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান মাহাতো ও আদিবাসী সম্প্রদায় এর সদস্যরা কেউ যেন অন্য প্রবচনায় পা না দেয় । আদিবাসী ও মাহাতো দের মধ্যে ঝামেলা তিনি চান না। আদিবাসীদের জমি যাতে হস্তান্তর না হয় সেই ব্যপার তিনি দেখবেন।আর 100 দিনের কাজের টাকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে । 1 লা এপ্রিল এর মধ্যে যদি না আবাস যোজনার আটকানো টাকা কেন্দ্র না ছাড়ে রাজ্য তা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।