একের পর এক বাড়ছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা, এর দায় কার? কাঠগড়ায় ভারতীয় রেল

গত কয়েক বছরে একেরপর এক বেড়ে চলেছে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা। কখনও বা চালকের ভুল কখনও বা সিগন্যালিং অথরিটির। মাঝ খানে প্রাণ যাচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সাক্ষী থাকলো ভয়াবহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার। প্রায় গিয়েছে তিন জন রেল কর্মী সহ এখনও অবধি দশ জনের। ঠিক এক বছর আগেও একটি বিশাল দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় ভারত। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রাণ হারায় সরকারি মতে ২৯৩ জন। তবে সাধারণ প্রত্যক্ষদর্শী মানুষের মতে তার সংখ্যা ছড়িয়েছিল ৬০০ জনেরও বেশি।

একের পর এক দুর্ঘটনা বার বার যেনো দিন রাতের আবর্তনের মতো ঘুরে ঘুরে আসছে। এর দায় আসলে কার? প্রশ্ন উঠতেই বারংবার দায় এড়িয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কখনও সিগন্যালিং অথরিটির উপর দোষ পরে তো কখনও রেলের পাইলটের উপর। এবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় সংঘর্ষ হয় মালগাড়ির সাথে, আর তাতেই মৃত্যু হয় মালগড়ির চালক সহ গার্ড ম্যান এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ডের। আর এর দোষও গিয়ে পড়ে ওই মৃত মালগাড়ীর চালকের উপর।

এদিকে আরেকটি সূত্র মারফত জানা গেছে রেলের পাইলট এবং অন্যান্য পদে মত শূন্যপদ তিন লক্ষেরও বেশি। এছাড়াও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং রেলের কোচ গুলি অনেক পুরানো হয়ে গেছে যা যেকোনো দুর্ঘটনায় সহজেই দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে এবং যাত্রী সুরক্ষায় একের পর এক আঘাত আনছে । তাহলে এভাবে আর কত দায় এড়াবে রেল কর্তৃপক্ষ।

একের পর এক বাড়ছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা, এর দায় কার? কাঠগড়ায় ভারতীয় রেল
একের পর এক বাড়ছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা, এর দায় কার? কাঠগড়ায় ভারতীয় রেল

এদিকে শূন্যপদ থাকার দরুন কর্মরত কর্মচারীদের ওভার ডিউটি করানো হচ্ছে, ফলে তারা তাদের শরীরের জন্য উপযুক্ত বিশ্রাম নিতে পারছেনা। এই দুর্ঘটনায় মৃত এক রেল কর্মী ৬২ বছর বয়সেও কর্মরত অবস্থায় ছিলেন রেলে। সাধারণত ৬০ বছর বয়সেই অবসর মেলে যেকোনো ভারতীয় কর্মচারীর। সেক্ষেত্রে কর্মীর অভাবে অতিরিক্ত চাকরিতে বহাল থাকাকেও দায়ী করছেন সকলে। রেলের তরফে কেনো প্রার্থী নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা সে বিষয়ে কাঠ গড়ায় এবার ভারতীয় রেল নিজেই।