মিউচুয়াল ফান্ড এখন মানুষের রোজকার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ হোক বা শেয়ার মার্কেট সব কিছুতেই এখন মানুষের উৎসাহের প্রকাশ মেলে। ব্যাংকের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ড গুলিতে মিলছে দারুন রিটার্ন আর এতেই কি মন টানছে গ্রাহকদের?
সম্প্রতি Groww অ্যাপ কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ক্যালকুলেটর। যেখানে আপনার বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ এবং ওই সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ইন্টারেস্ট বা সুদের হার লিখে দিলেই এবং সময় স্থির করলে তার সম্ভাব্য রিটার্ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। আর এতে করে আরও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ঝোঁক বাড়ছে মানুষের।
মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সব সময় সর্বচ্চো সময় দিয়ে করলেই রিটার্ন বেশি ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এবং এক্ষেত্রে গ্রাহক চাইলে প্রতি মাসে বা এক কালীন সমস্ত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। এরপর শেয়ার বাজারে ওই নির্দিষ্ট সংস্থার প্রতিদিনের লাভ ও ক্ষতির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে মিলবে রিটার্ন। এই জন্যই মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সব সময় বেশি দিনের জন্য করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদি কোনো গ্রাহক প্রতি মাসে কোনো সংস্থায় ১০০০/- টাকার একটি বিনিয়োগ করতে থাকেন তবে সে বছরে ১২০০০/- টাকার একটি বিনিয়োগ করতে পারবে। এবং বাৎসরিক ১২% হারে যদি ১০ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যায় তবে সে মোট বিনিয়োগ করে ১২০০০০/- টাকা। এবং সেই মূল অর্থ সুদ হিসেবে পেতে পারে প্রায় ২৫০০০০/- টাকা। এবং মোট ৩৭০০০০/- এর কাছের অর্থ। এই বিপুল রিটার্নের লোভেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বাড়ছে বিনিয়োগ কারীর সংখ্যা।

তবে এক্ষেত্রে কিছু রিস্ক থাকছে। তাই বিনিয়োগের আগে শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডটির সম্পর্কে জেনে তারপর বিনিয়োগ করতে বলা হচ্ছে।