২০১২ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের জন্য নিয়ে আসেন লক্ষীর ভাণ্ডার। উক্ত প্রকল্পে মহিলাদের মাসিক অর্থ সাহায্য পাঠানো শুরু হয়। জেনারেল ও ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য ৫০০ এবং তপশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাদের দেওয়া হচ্ছিল ১০০০ টাকা।
রাজ্যের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার পক্ষেই এই প্রকল্পের সূচনা হয়। অল্প কিছু বছরেই তাই এই প্রকল্প রাজ্যবাসীর মনে দাগ কাটে। এপ্রিল মাসেই লোকসভা ভোট ২০২৪ এর আগেই লক্ষী ভান্ডারের অর্থের পরিমাণ ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ এবং ১০০০ থেকে বাড়িয়ে ১২০০ করে দেওয়া হয়।
বাংলায় ওঠা সবুজ ঝড়ই তার প্রমাণ যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে খুশি লক্ষীরা। তাই বারবার আস্থা রাখছেন দিদির উপর। রাজ্যের মহিলাদের দেওয়া এই অর্থ সাহায্যই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গা পাকা করছে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এখন ২০২৪ লোকসভা ভোটে ভালো ফল করার পর আবারো উঠে আসছে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বাড়ানোর খবর।
এবার শোনা যাচ্ছে ১০০০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০০ এবং ১২০০ টাকা বাড়িয়ে করা হবে ২০০০। অর্থাৎ সাধারণ এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য ১৫০০ টাকা এবং ST ও SC মহিলাদের জন্য বরাদ্দ হবে ২০০০ টাকা। খবর সামনে আসতেই খুশির হাওয়া বইছে রাজ্য জুড়ে। বিভিন্ন স্তরের মহিলারা নিজেদের ইচ্ছেপূরণ করার একটি উৎস পেয়েছেন বলে তাঁরাও মমতা বনদ্যোপাধ্যায়কে আপন করে নিয়েছেন।

তবে এই খবরের সরকারি কোনো স্বীকারোক্তি এখনও পাওয়া যায়নি। বিশিষ্ট মহলের দাবি লোকসভা ভোটের আগেই যেহেতু অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে তাই এই মুহূর্তে আবারও লক্ষীদের অর্থ বৃদ্ধি না করার সুযোগই বেশি। তবে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এই গুঞ্জনে সরকারি সিলমোহর পড়তে পারে বলেই তাদের ধারণা।