দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশে বিলম্ব, আর কত দেরি পাকাপাকি স্বস্তি মিলতে

এই বিশাল ভারত বর্ষ পুরোপুরি বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। তাঁর মধ্যে বিচিত্রময় আমাদের পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গকে কার্যত দুটি ভাগে আলাদা করা যায় উত্তর বঙ্গ তথা উত্তর দিকের পাহাড়ি অঞ্চল কথা দার্জিলিং, কালিংপং ইত্যাদি এবং দক্ষিণ বঙ্গ অর্থাৎ কলকাতা, বারাসাত, বর্ধমান , বীরভূম ইত্যাদি। বর্ষার আগে পশ্চিমবঙ্গের দুই ভাগে দুই আলাদা রকম আবহাওয়া থাকে প্রতিবছরই।

এবারেও বর্তমানে তিস্তার রোষে ভারাক্রান্ত উত্তর বঙ্গ, ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে পাহাড়ি নদী তিস্তা। একের পর এক ধস নামার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রবল ক্ষয় ক্ষতির মুখে মানুষ। আর অন্যদিকে দক্ষিণ বঙ্গে এখনও স্বস্তি মেলেনি মানুষের। ১৩ ই জুন বর্ষার উপযুক্ত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশের কথা থাকলেও তাতে বিলম্ব হয়েছে। কার্যত এখনও বৃষ্টিহীন দক্ষিণ বঙ্গ। জায়গায় জায়গায় চলছে হিট ওয়েভ ও কমলা সতর্কতা।

এরই মধ্যে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো আর দেরি নয়। ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া বর্ষাকে সদর আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। বায়ুর চাপ ও দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুকে আহ্বান জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। আবহাওয়া এভাবে চললে আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এই হাসফাঁস করা গরম থেকে মিলবে স্থায়ী ছুটি। প্রবেশ করবে বর্ষা। অর্থাৎ এই বছরের মতো তীব্র গরমের দাবদাহের এক প্রকার ইতি।

দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশে বিলম্ব, আর কত দেরি পাকাপাকি স্বস্তি মিলতে
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশে বিলম্ব, আর কত দেরি পাকাপাকি স্বস্তি মিলতে

আগামী চার পাঁচ দিনেই বঙ্গে আসবে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে এবং সাথে স্বল্প থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার থেকেই ধীরে ধীরে ঠান্ডা হবে পরিবেশ। তাপপ্রবাহ থাকবেনা আর ঠিক এরকম আবহাওয়াতেই বঙ্গোপসাগরের উপরের দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আসবে দক্ষিণ বঙ্গে বর্ষা ঘটাতে।