বিনিয়োগের জগতে ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসগুলিকে পিছনে ফেলে সব থেকে বেশি পছন্দের মাধ্যম হিসেবে এগিয়ে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডের নাম। মিউচুয়াল ফান্ড এখন সাধারণ মানুষের কাছে একটি নতুন আয়ের পথ হিসেবে ধরা দিয়েছে। গত ৭-৮ বছরে এর বিনিয়োগের তথ্য দেখলেই বোঝা যায় মানুষ আস্থা রাখছে মিউচুয়াল ফান্ডেই। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৬ সালে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩১৮৯ কোটি। যা ২০২৪ সালের শুরুতেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৯০৪ কোটি। অর্থ্যাৎ শুধুমাত্র মাঝের সাত বছরে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭,৭১৫ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ মানেই SIP। তাই সময়ের সাথে আরও জনপ্রিয়তা বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডের। নতুন বিনিয়োগকারীদের মনে এই মিউচুয়াল ফান্ড এবং তার SIP নিয়ে প্রশ্নের অন্ত থাকেনা।
বিনিয়োগকারীরা যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেই জন্যই হোয়াইট ওক ক্যাপিটাল মিউচুয়াল ফান্ড একটি সমীক্ষা চালায়। ওই সংস্থা স্পষ্ট করে জানিয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সব সময় আর্থিক পরামর্শদাতার পরামর্শেই অংশ নেওয়া উচিত। এছাড়াও সবসময় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত এর ফলে শেয়ার বাজারের ওঠা নামা কম প্রভাব ফেলতে পারে। আর যদি স্বল্প সময়ের জন্য ফান্ডটি করা হয় তবে বাজারের ওঠা নামার বিশাল একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়।

এছাড়াও বলা হচ্ছে বাজার পড়ার সময় বিনিয়োগ করলে, বাজার ওঠার পর বেশি রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। কারণ কোম্পানির খারাপ সময়ে যেসব অর্থ বিনিয়োগ হয় তার উপর বেশি রিটার্ন দেয় সংস্থা। এছাড়াও বলা হচ্ছে লার্জ ক্যাপ সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করলে স্বল্প সময়ের বিনিয়োগেও বাজারের কম প্রভাব পড়ে। কিন্তু আবার মিড বা স্মল ক্যাপ ফান্ড গুলিতে লং টার্মের জন্য বেশি রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।