পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম দেশ ভারতে চর্চা বহু প্রচলিত খেলার। ক্রিকেটে ভারত বহু বছর আগেই জাতীয় পর্যায়ে উঠলেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ফুটবলে এগিয়ে উঠতে পারেনি সেভাবে। ভারতের ক্লাব গুলি অন্তরাষ্ট্রিয় ফুটবল খেলে আসছে বহু বছর ধরে। জাতীয় স্তরে খেলার স্বপ্ন এখনও অধরা। ফুটবলের জগতের সব থেকে বড় প্রতিযোগিতার নাম হলো ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ। আর বিশ্বের সব থেকে বড় এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় ভারত একবারও নিজের নাম লেখাতে পারেনি।
চলছে ২০২৬ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের বাছাই পর্ব। সেখানেই এবার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ভারতের। ঘরের মাঠে প্রথমে আফগানিস্তান এবং পরে কুয়েতের সঙ্গে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে ভারত। কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলার সময়ই ঘটে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা। জনসমুক্ষে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে স্বপ্ন ভঙ্গ ১৪১ কোটি ভারতীয়র। এদিন প্রথমার্ধে ভারত একটি গোল করলে কাতারের ইউসুফ আয়মেনের গোলে কাতার সমতা আনে। আর এই গোল ঘিরেই শুরু হয় জল্পনা।
এদিন ইউসুফ বলটিকে তারা করে সীমা লাইনের বাইরে নিয়ে গিয়ে ফেলে, ফলে ভারতীয় খেলোয়াড়রা প্রতিরক্ষা হালকা করে দেয় আর এই সুযোগেই ইউসুফ বলটিকে ফিরিয়ে এনে ফের গোলপোস্টের নেটের দিকে ঠেলে দেয় এবং একটি গোলের দাবি করে। এই গোটা ঘটনায় রেফারির বাঁশি বাজানো শোনা যায়নি। তিনি গোল দিয়ে দেন। পরে ভারতীয় খেলোয়াড়রা আপত্তি জানালে রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। অসন্তুষ্ট হয়ে খেলা থামিয়ে দেয় ভারতীয় খেলোয়াড়রা তখন রেফারি তার বাকি সহ রেফারিদের সাথে আলোচনা করে সেটিকে গোল হিসেবে ধার্য করেন। ভারতের সমর্থন কম থাকায় এবং বিরোধিতা করার জোর না থাকায় অনায়াসেই কুয়েতের পক্ষে দেওয়া হয় রায়।

এর পর পরই ডু অর ডাই ম্যাচে ভারতে খেলোয়াড়রা মন থেকে ভেঙে পরে এবং ধীরে ধীরে ওয়ার্ল্ড কাপের দরোজা বন্ধ হতে থাকে তাদের জন্য। পরে দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে নেয় ভারত। আর সেখানেই স্বপ্নচ্যুত হয় ১৪১ কোটি মানুষের আশা। পরে ম্যাচ শেষের রিক্যাপ ভিডিওতে পরিষ্কার রেফারির গাফিলতা চোখে পড়ে ভক্তদের। সামাজিক মাধ্যমে গর্জে উঠেছে সকলেই। এতে কি টনক নড়বে কারও? রেফারির ওই গাফিলতার মাশুল এতটা ভয়ানক হবে ভারতের জন্য তা স্বপ্নেও ভাবেনি ফুটবলপ্রেমী ভারতবাসী।