কিছুদিন আগেই তৃণমূল সাংসদ খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। শুটিং চলাকালীন রেস্তোরাঁর মালিকের সাথে বচসা ও মারধরের মতো ঘৃণ্য অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা যায় শুটিং চলাকালীন পার্কিং নিয়ে বচসা বাধে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীর সাথে হোটেল কর্মচারী দের। কর্মচারীদের দাবি শুটিংয়ে আসা অনেকগুলি গাড়ির মধ্যে একটি পার্কিং স্লট খালি করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু এরপরই এক কথা দুই কোথায় বিবাদ বাড়লে চিৎকার শুনে বেড়িয়ে আসেন সোহম চক্রবর্তী।
এরপর তিনি রেস্তোরাঁর মালিককে বেধড়ক মারেন এবং আহত করেন। এই মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে। এরপরই ওঠে নিন্দার ঝড়। পরে অভিনেতা দাবি করেন রেস্তোরাঁর মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বনদ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করার তিনি মেজাজ হারান। এও বলেন তার মেজাজ হারানো উচিত হয়নি।
ঘটনায় অভিনয় জগৎ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল সকলের মুখেই মোটামুটি নিন্দার ঝড় ওঠে। এরপর সমাজ মাধ্যমে হইচই পড়ার পর প্রায় ২০ ঘণ্টা পর পুলিশ তদন্তে নামেন। এবং সেই তদন্তের রিপোর্ট এখনও পেশ করা হয়নি পুলিশের তরফে। এবার তাই আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো ওই রেস্তোরাঁর মালিক।

কিন্তু আবার গুরুতর অভিযোগ করা হলো পুলিশের বিরুদ্ধে। রেস্তোরাঁর মালিকের দাবি কোনো তদন্তই হয়নি এখনও পর্যন্ত। তাই তিনি এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। অর্থাৎ অভিনেতা তথা সংসদ সোহম চক্রবর্তীর দ্বারা হওয়া এই ঘটনার জল এখনও অনেকে দুর যাবে। তবে কি এবার তাঁকে ছুটতে হবে হাই কোর্টে?