Mutual Fund: সময়ের সাথে ভারত যত উন্নত হচ্ছে ততই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে শেয়ার মার্কেট। আর এর সাথেই চাহিদার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসছে মিউচুয়াল ফান্ডও। মিউচুয়াল ফান্ড হলো একটি বিনিয়োগের সুযোগ যা প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে শেয়ার বাজারের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেসব ছোট বা বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারের ঝুঁকি নিতে চাননা তাদের জন্যই ভারত সরকার স্বীকৃত সেবির একটি বিনিয়োগ মাধ্যম হলো মিউচুয়াল ফান্ড। রোজকার শেয়ার বাজারের ওঠা নামার উপর ভিত্তি করেই মিউচুয়াল ফান্ডে রোজকার রিটার্ন পাওয়া যায়।
মিউচুয়াল ফান্ডে মূলত দুই ভাবে অর্থ বিনিয়োগ করা যায়। একটি এক কালীন সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করে যা সাধারণত অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য বেশি সুবিধার। বা এককালীন অনেকগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব এমন কোনো বিনিয়োগকারীদের জন্যই এই অপশনটি বেশি সুবিধার। আরেকটি প্রক্রিয়া হলো প্রতি মাসে কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করেও বিনিয়োগ করা সম্ভব। এই প্রক্রিয়াকে এসআইপি বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। যা প্রতি মাসের ২৮ থেকে ৩ বা ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে জমা করতে হয়। এবং এক্ষেত্রেও শেয়ার বাজার ওঠা নামার উপর ভিত্তি করেই প্রতিদিনের রিটার্ন পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সমাজের সব ধরনের মানুষই নিজেদের সামর্থ্য মতো বিনিয়োগ করতে পারবেন।
মিউচুয়াল ফান্ডের দুটি ক্ষেত্রেই মাত্র একশো টাকা থেকেই বিনিয়োগ শুরু করা যায়। মূলত সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগে সংস্থা স্থির করে তার লাভ ক্ষতির হার বিচার করে তবেই বিনিয়োগ করতে হয়। এরপর সেই সংস্থার শেয়ার বাজারে লাভ ও ক্ষতির বিচারেই রিটার্ন দেওয়া হয় বিনিয়োগকারীদের। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বাজারগত ঝুঁকি থাকতে পরে তাই সঠিক তথ্য বিচার বিবেচনা করে তবেই বিনিয়োগ করতে হবে।