টাকা সঞ্চয়ের কথা ভেবে অনেকেই পোস্ট অফিস, ব্যাংক থেকে শুরু করে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন। বিনিয়োগের মূল উদ্দেশ্যই হলো মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া। তাই কোন স্কিমে ইনভেস্ট করলে বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে, তা হিসাব করে নেওয়া টা জরুরি। আজ আপনাদের সঙ্গে পোস্ট অফিসের এমন একটি স্কিম সম্পর্কে জানাবো, যেখানে অর্থ বিনিয়োগ করলে ১১৫ মাসে টাকা হবে ডবল।
কিষান বিকাশ পত্র বা KVP Scheme পোস্ট অফিসের জনপ্রিয় স্কিমগুলির মধ্যে একটি। যে সমস্ত ব্যাক্তিগত দীর্ঘ মেয়াদের ইনভেস্ট প্ল্যান খোঁজেন তাদের জন্য KVP স্কিম বেশ ভালো। কারণ এখানে উচ্চ হারে সুদ পাওয়া যায়। রি স্কিমে ১১৫ মাস অর্থাৎ ৯ বছর ৭ মাসে টাকা দ্বিগুন হয়ে যায়। পাশাপাশি এই স্কিমের সুদ ফিক্সড হওয়ার বাজারের ওঠা নামার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ফলে অর্থ থাকে নিরাপদ এবং নিশ্চিত রিটার্নের গ্যারান্টি পাওয়া যায়।
কিষান বিকাশ পত্র স্কিমটি কেন্দ্র সরকারের একটি দুর্দান্ত স্কিম। যেখানে ওয়ান টাইম ইনভেস্টমেন্ট করতে হয়। ১৯৮৮ সালে এই স্কিমটি চালু করা হয়েছিল। ১৮ বছরের উর্দ্ধে যে কোনো ভারতীয় নাগরিক এই স্কিমে ইনভেস্ট করতে পারবে। সিঙ্গেল বা জয়েন্ট ভাবে একাউন্ট খোলা যাবে। ১০ বছরের বেশি নাবালক বা নাবালিকা অবিভাবকের সঙ্গে KVP Account খুলতে পারবে। এছাড়া মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিকে সঙ্গে নিয়ে অবিভাবক খাতা খুলতে পারবে।
কেভিপি স্কিমে ইনভেস্ট করতে হলে ১০০০, ৫০০০, ১০,০০০, ৫০,০০০ টাকার সার্টিফিকেট কিনতে হবে। দেশের যে কোনো পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাংক থেকে এই স্কিমের খাতা খুলতে পারবেন। এই স্কিমে নমিনি যুক্ত করতে পারবেন। সার্টিফিকেট কেনার সময় কিংবা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নমিনি যুক্ত করতে পারেন। এখানে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য টাকা বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে দ্বিগুন অর্থ রিটার্ন পাওয়া যায়।
কিষান বিকাশ পত্র স্কিমে মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। এখানে বিনিয়োগের কোনো উর্দ্ধসীমা নেই। বর্তমানে এই স্কিম থেকে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। এবার কোনো ব্যাক্তি যদি এই স্কিমে ১১৫ মাসের জন্য ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে মেয়াদ শেষে ২ লক্ষ টাকা পাবে। একই ভাবে কেউ যদি ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদ শেষে ওই ব্যাক্তি ১০ লক্ষ টাকা ফেরত পাবেন।