স্মার্ট ভরতের যুগে অনলাইন টাকা পাঠানো, জিনিসপত্র কেনা বা বিক্রি পুরোটাই এখন নিউ নরমাল হয়ে উঠেছে। এর জন্য প্রায় সবার মোবাইলেই যোগ করা থাকছে তাদের ব্যাংক একাউন্টের ডিটেইলস। আর এই সুযোগেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে সাইবার ক্রাইম এবং ক্রিমিনালরা। সাইবার ক্রাইমের এখন একাধিক ধরন দিনে দিনে সামনে এসে উপস্থিত হচ্ছে। সঙ্গে দোসর হিসেবে থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI।
হয়তো খুব পরিচিত কেউ বা নিজের পরিবারের কোনো সদস্য আপনাকে কোনো অচেনা নাম্বার থেকে ফোন করে বলছে ফোন হারিয়ে ফেলেছি, কিছু টাকার প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো ইউপিআই স্কানার। আপনিও না ভেবে তড়িঘড়ি পাঠিয়ে দিলেন টাকাটা। ব্যাস। এরপর সব শেষ। আপনি নিজের আপন জন ভেবে পা দিলেন জালিয়াতির পাতা ফাঁদে।
বা ধরুন অচেনা কোনো নাম্বার থেকে ভিডিও কল ধরেই দেখলেন কোনো অচেনা পুরুষ বা নারী তাঁর শরীরের বিভিন্ন গোপনাংশ দেখিয়ে যাচ্ছেন। আপনি হয়তো ফোন কেটে দিলেন কিন্তু ততক্ষণে আপনার মুখের সঙ্গে ভিডিও চাটের রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরই আসবে টাকা চেয়ে ব্লাকমেইল। নইলে ওই ছবি বা ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি। আপনি ভয়ে ভয়ে দিলেন সেই টাকা। এখানেই হলো ভুলটা।
এবার হয়তো অচেনা ভিডিও কল ধরে দেখলেন কোনো পরিচিত মানুষ কিছু টাকা ওই ফোন করা নাম্বারে ফোন পে বা UPI এর মাধ্যমে পাঠাতে বলছে বিশ্বাস করলেই ঠকবেন।

এসবের পিছনে রয়েছে আয়ের কারসাজি। অর্থাৎ জালিয়াতরা হয়তো ফেসবুক বা আপনার কল ট্রাক করে আপনার কাছের মানুষদের গলার স্বর বা ছবি সংগ্রহ করেছে। সেগুলো ব্যবহার করেই আপনাকে ফোন বা ভিডিও কলের মাধ্যমে সাহায্য চেয়ে পাঠাচ্ছে AI এর মাধ্যমে। তাই হঠাতই এরকম আবেদন পেলে আগে ওই ব্যক্তিকে সরাসরি যোগাযোগ করুন বা সামনাসামনি তার সাথে দেখা করে তবেই টাকা পাঠান। এই ছোট ছোট অসাবধানতা এবং হঠকারিতায় আপনার আর্থিক ক্ষতির কারণ যেনো না হয় সেদিকে নজর রাখুন।